ভারতের মুদ্রা রুপির দর কমে নতুন রেকর্ড গড়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রতি ডলারের বিপরীতে রুপি পৌঁছেছে ৯০.৮৩–এ, যা ডলারের বিপরীতে রুপির সর্বনিম্ন দর হিসেবে ধরা হচ্ছে। সোমবারের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও রুপির দরপতন শুরু হয়।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম শিগগিরই ৯১ ছাড়িয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা আরও বেশি রুপি পাবেন। পূর্বে প্রতি ডলার ভাঙালে কম রুপি পাওয়া যেত, এখন একই ডলারের বিনিময়ে তারা ছয় রুপির মতো বেশি পাচ্ছেন।
রুপির দরপতনের পেছনে মূলত ভারতের শেয়ারবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ চলে যাওয়া এবং বাণিজ্যচুক্তি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে রুপির দাম নিম্নমুখী। ভারতের বিদেশি মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে চাইছেন এবং বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
ভারতের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে ভালো অবস্থায় আছে। জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.২ শতাংশ, এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ। জিওজিৎ ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ভিকে বিজয়কুমার আশ্বস্ত করেছেন যে রুপির ওপর চাপ শিগগিরই কমবে।
বাংলাদেশে ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ভারতের রুপির দরপতনে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা লাভবান হচ্ছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রতি ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ছিল ৮৪–৮৫, যা এখন প্রায় ৯১–এ পৌঁছেছে। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক কারণে ভারত ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণ কমেছে। ২০২৩ সালে ভারতে ২১ লাখ ২০ হাজার বাংলাদেশি ভ্রমণ করেছিলেন, কিন্তু ২০২৪ সালে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৫০ হাজারে।
